বরকতময় শাবান মাসের করণীয় আমল
শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী
শাবান
মাসের পূর্ণ নাম হলো ‘আশ
শাবানুল মুআজজম’, যার অর্থ—মহান
শাবান মাস। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম শাবান
মাসে সবচেয়ে বেশি নফল ইবাদত,
নফল রোজা পালন ও
নফল নামাজ ইত্যাদি আদায় করতেন। রজব
মাসে ইবাদতের মাধ্যমে মনের ভূমি কর্ষণ
করা, শাবান মাসে আরও বেশি
ইবাদতের মাধ্যমে মনের জমিতে বীজ
বপন করা; রমজান মাসে
সর্বাধিক ইবাদত–বন্দেগির মাধ্যমে সফলতার ফসল তোলা।
![]() |
প্রিয়
নবী রহমাতুল্লিল আলামিন হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি
দরুদ পাঠের নির্দেশনাসংবলিত অসাধারণ আয়াতটি এ মাসেই অবতীর্ণ
হয়। ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি
পরিপূর্ণ রহমত বর্ষণ করেন,
ফেরেশতাগণ নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্য
রহমত কামনা করেন;
হে
বিশ্বাসী মুমিনগণ! তোমরাও তাঁর প্রতি দরুদ
পাঠ করো এবং যথাযথভাবে
সালাম পেশ করো।’ (সুরা-৩৩ আহযাব, আয়াত:
৫৬)
তাই
শাবান মাস হলো নবীজির
প্রতি অগাধ শ্রদ্ধা, ভক্তি
ও প্রেম–ভালোবাসা প্রদর্শনের মাস। তা হবে
সুন্নত অনুশীলনের মাধ্যমে।
হজরত
আনাস (রা.) বর্ণনা করেন,
‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে
বলেছেন, “হে বৎস! যদি
পারো এভাবে সকাল ও সন্ধ্যা
পার করো যেন তোমার
অন্তরে কারও প্রতি হিংসা
না থাকে; তবে তা–ই
করো।” অতঃপর বললেন, “হে বৎস! এটাই
আমার সুন্নত সুমহান আদর্শ। যে ব্যক্তি আমার
সুন্নত অনুসরণ করল, সে প্রকৃতপক্ষে
আমাকে ভালোবাসল; যে আমাকে ভালোবাসল,
সে জান্নাতে আমার সঙ্গেই থাকবে।”’
(তিরমিজি শরিফ: ২৬২৭)
শাবান
মাস ইবাদতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
সময়। নফল রোজা, নফল
নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, দরুদ শরিফ, জিকির–আজকার, তাসবিহ তাহলিল, দোয়া কালাম, দান–সদকাহ–খয়রাত, উমরাহ হজ ইত্যাদির মাধ্যমে
এ মাসকে সার্থক ও সাফল্যময় করা
যায়।
১৪
শাবান দিবাগত ১৫ তারিখের রাতকে
‘শবে বরাত’ বলা হয়। এ
রাতে ইবাদত করা ও দিনে
রোজা রাখা সুন্নত।
· মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী
যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি; সহকারী অধ্যাপক, আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজম


0 মন্তব্যসমূহ